প্রকাশিত: Wed, Dec 27, 2023 8:25 PM
আপডেট: Tue, Jul 1, 2025 10:01 PM

[১]মৌলভীবাজারে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব, বেশি আক্রান্ত শিশুরা

স্বপন দেব: [২] মৌলভীবাজারে কয়েকদিনে তীব্র শীতে অনেকটা নাজেহাল জেলার সাধারণ মানুষ। কনকনে তীব্র ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশার কারণে জেলার সাতটি উপজেলায়  শ্বাসকষ্ট, জ্বর, হাঁপানি, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। প্রতিটি উপজেলা হাসপাতালে শতাধিক রোগী ঠান্ডা জনিত রোগের চিকিৎসা নিচ্ছেন আবার কাউকে হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে। 

[৩] মৌলভীবাজারের জেলা সদরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে প্রতিদিনই ঠান্ডাজনিত জটিল রোগী আসছেন। তাদের মধ্যে বেশিরভাগ শ্বাসকষ্ট, জ্বর, নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশু রোগী। হাসপাতালের আন্তঃ ও বহির্বিভাগে ঠান্ডা জনিত বিভিন্ন বয়সী রোগীর চাপ দেখা যায়। তবে নির্দিষ্ট পরিমাণ বেডের বিপরীতে রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় অনেক রোগীকে বারান্দায় চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। হাসপাতাল থেকে রোগীদের শুধু প্যাকেট সেলাইন ও সামান্য কিছু বিনামূল্য ওষুধ দেয়া হচ্ছে বলে রোগীর স্বজনরা জানান। বেশিরভাগ ঔষধ বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে। 

[৪] জেলা সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য প্রতিদিন ৩৫ থেকে ৪০ জন ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত শিশু ভর্তি হচ্ছে। শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিদিন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। শীত মৌসুম শুরুর পর থেকেই হাসপাতালে বাড়ছে।  একটি চা বাগান থেকে আসা শিশু রোগীর মা চম্পা কুর্মি বলেন, আমার শিশু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ছিল, তাকে নিয়ে দশদিন হাসপাতালে রয়েছি। এখন সে এখন কিছুটা সুস্থ হয়েছে তাই বাড়ি ফিরে যাবো। 

[৫] হাসপাতালের দায়িত্বরত নার্স জানান, শীতজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ায় প্রতিদিন বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। শিশু ওয়ার্ডে বেডের বিপরীতে অধিক রোগী রয়েছেন। 

[৬] মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. বিনেন্দু ভৌমিক এ প্রতিবেদককে জানান, শীতে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ার সাথে সাথে রোগীর চাপ বাড়ছে। প্রতিদিন শিশুরা কোল্ড ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। এদের মধ্যে কেহ এক থেকে তিনদিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন।  

[৭] তিনি আরও বলেন, আমরা কিছু জটিল রোগীদেরকে সিলেট মেডিক্যাল হাসপাতালে প্রেরণ করছি। হাসপাতালে যে ওষধ আছে তা দিয়েই চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছি। প্রয়োজনে রোগীর স্বজনরা বাইরের থেকে কিছু ওষধ কিনে এনে দিচ্ছেন। এখনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আছে, তবে শীত বাড়লে পরিস্থিতি সামাল দেয়া কিছুটা কঠিন হয়ে পড়তে পারে।